ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহেন্সমেন্ট (উইকেয়ার) প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পটির দুই লেনের ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে।
ছাড়ের অর্থায়ন সরবরাহকারী বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মাধ্যমে চার বছর মেয়াদীসহ ৩৪ বছরের মেয়াদ রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ২৬০ কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা করেছে তাতে এই ঋণ সহায়তা করবে। এছাড়া এতে ওই অঞ্চলের দুই কোটি মানুষ উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ধরনের কৃষি পণ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবেও এ অঞ্চলের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ’
টেম্বন বলেন, এই প্রকল্পটি পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানীর সাথে যুক্ত করে কৃষি পণ্যকে বাজারে যুক্ত করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সংযোগ তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত ও অন্যান্য সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সংস্থাটি জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করা হবে যাতে নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। যেটি করোনার মহামারিতেও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।